ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি আমাদের জীবনের জন্য এক অতুলনীয় প্রেরণার উৎস। প্রথমেই বলা যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি বাংলা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেমন যুগান্তকারী ছিল, তেমনি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও এই উক্তিগুলো বিশেষ দিকনির্দেশনা দেয়। তাঁর উক্তি কেবল কথার ফুলঝুরি নয়, এগুলো জীবনের কঠিন সময়ে আশার আলো হয়ে জ্বলে ওঠে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি তার মানবতাবাদী মনোভাব, সমাজ সংস্কারক দৃষ্টিভঙ্গি ও শিক্ষার প্রতি অপরিসীম ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষকে প্রকৃত মানুষ করতে হলে শিক্ষাই সর্বপ্রথম শর্ত। তাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেয় ন্যায়, সততা, উদারতা আর সহমর্মিতা কাকে বলে। তাঁর উক্তিগুলো আজও আমাদের সামাজিক ও নৈতিক জীবনে দিশারি হয়ে আছে।
বর্তমান সময়ে আমরা প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়াতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি দিয়ে পোস্ট বা ক্যাপশন লিখি। কারণ এই উক্তিগুলো আমাদের শুধু বাহ্যিকভাবে আকৃষ্ট করে না, বরং গভীরে গিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সুতরাং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি নিয়মিত পড়া, ভাবা ও শেয়ার করা আমাদের মানসিক পরিশুদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি
তাহলে দেখে নেয়া যাক বাছাইকৃত সেরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি, যা আমাদের জীবন ও ভাবনায় প্রেরণা যোগাবে।

-
“মানুষের মধ্যে মানুষের প্রতি দয়া থাকা উচিত, এই দয়া মানুষকে সঠিক পথে চালায়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“শিক্ষা মানুষকে সত্যিকারের মানুষ করে তোলে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অন্যায়ের সঙ্গে আপস কখনোই করা উচিত নয়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“যে নিজেকে জানে, সে সবার থেকে বড়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সত্যের জন্য লড়তে হলে একা লড়তে হবে, ভিড় সব সময় সত্যের সাথে থাকে না।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“মানবসেবা হলো পরম ধর্ম।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“পরের দুঃখে দুঃখিত হওয়া মানুষের মূল পরিচয়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“জ্ঞান অর্জনের জন্য কখনো বয়সের দিকে তাকাতে নেই।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই প্রকৃত উন্নয়নের চাবিকাঠি।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অশিক্ষিত মানুষ অন্ধের সমান।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“প্রশংসা নয়, সমালোচনাই মানুষকে শুদ্ধ করে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“নিজের অন্তরকে জিজ্ঞাসা করো, সে তোমায় মিথ্যা বলবে না।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“ধর্ম মানে মানবতার কল্যাণ।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“দয়া করে কেউ ছোট হয় না, বরং দয়া মানুষকে মহান করে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“পরিশ্রমী মানুষই ভাগ্যবান হয়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“যে অন্যকে ঠকায়, সে নিজের বিবেককেই হারায়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সঠিক শিক্ষা সমাজে আলোর দিশারী।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই মানুষের ধর্ম।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“দুঃখ মানুষকে পরিণত করে, আর সুখ মানুষকে ভুলিয়ে রাখে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“যে সবসময় নিজের ভুল স্বীকার করতে জানে, সে প্রকৃত শিক্ষিত।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
আরও প্রেরণাদায়ক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি
-
“শিক্ষা হলো মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকলে তবেই সে মানুষ।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সত্য সব সময় সহজ, মিথ্যা জটিল।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোনো বড়ো কিছু অর্জন সম্ভব নয়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“যে নিজের দোষ দেখতে পায়, সে কখনো মন্দ পথে যাবে না।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“মানুষের আসল পরিচয় তার আচরণে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“দয়া হলো সবচেয়ে বড় শক্তি।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অপমান করার চেয়ে ক্ষমা করা অনেক বড়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“শিক্ষার আলোই অন্ধকার সমাজকে আলোকিত করে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অসত্য কখনো স্থায়ী হয় না।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“ভুল করলে স্বীকার করো, তাতেই মানুষ বড় হয়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“দুঃখের সময়ে যে তোমার পাশে থাকে, সেই প্রকৃত বন্ধু।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অশিক্ষা মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“মানুষের মধ্যে অহংকার যত কম, সে তত বড়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সবাই তোমার প্রশংসা করুক, এমন আশা করো না; নিজের কাজ ঠিকমতো করো।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“শিক্ষার কোনো শেষ নেই, মানুষ শেখে জীবনভর।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অন্যায় দেখে চুপ থাকা অন্যায়কেই সমর্থন করা।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সাহসই মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সদাচার ছাড়া মানুষ, মানুষ নয়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“নম্রতা মানুষকে মহৎ করে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“যে মানুষের জন্য কাজ করে, সে-ই সেরা মানুষ।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“মনের জোরই জীবনের আসল জোর।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করাই প্রকৃত বীরত্ব।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“প্রতিটি মানুষের মধ্যে মহানত্ব আছে, খুঁজে বার করতে জানতে হবে।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অন্যের কষ্ট দূর করার চেষ্টাই প্রকৃত ধর্ম।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“নিজের ওপর আস্থা রাখো, তাতেই তোমার শক্তি।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অপকারের উত্তর উপকার দিয়ে দাও, তাতেই শান্তি।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“সততা কখনো হারায় না, দেরি হলেও জয় তারই হয়।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“অশিক্ষা হলো সমাজের কলঙ্ক।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
“ভালো কাজের ফল ভালোই হয়, আল্লাহ দেরি করলেও অযথা নষ্ট করেন না।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উপসংহার : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি থেকে আমাদের শিক্ষা
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি আমাদের জীবনের জন্য কেবল একটি দার্শনিক নির্দেশিকা নয়, বরং চলার পথের আলোকবর্তিকা। এই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তিগুলো আমাদের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলে। মানুষ হিসেবে কীভাবে ন্যায়পরায়ণ, দয়ালু ও শিক্ষানুরাগী হতে হয়, তা তাঁর উক্তিগুলো থেকে আমরা সহজেই শিখতে পারি।
প্রতিদিনের জীবনে যখন আমরা হোঁচট খাই, তখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শক্তি দেয়। এই উক্তিগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সত্য ও মানবতার পথে চলার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা।
তাই আসুন, আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর উক্তি বারবার পড়ি, ভাবি এবং জীবনে প্রয়োগ করি। তাঁর এই মূল্যবান বাণীগুলো কেবল ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের পোস্ট নয়, আমাদের জীবনের মূলমন্ত্র হোক — যেন আমরা হয়ে উঠি সত্যিকারের মানুষ।