জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস ইসলামের নীতিমালা এবং মানবতার ন্যায়পরায়ণতার প্রতিফলন। জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস আমাদের শেখায় অন্যায় থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব এবং কিভাবে দুনিয়ায় ও আখিরাতে এর প্রতিকার পাবো। জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিসের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি, ইসলাম অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয় না, বরং তা দমন করার আদেশ দেয়।
আজকের সমাজে যখন জুলুম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস আমাদের সতর্ক করে দেয় এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিসের মাধ্যমে ইসলাম আমাদের মানবতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়, যা ব্যক্তিগত জীবন থেকে সমাজ পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস কেবল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, বরং মানুষের মাঝে দয়া, ক্ষমা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান। এই বাণীগুলো জীবনে বাস্তব প্রয়োগ করলে আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস
তাহলে দেখে নেয়া যাক বাছাইকৃত সেরা ইসলামিক উক্তি, যা জীবন গঠনে এবং ফেসবুক ক্যাপশন হিসেবেও কাজে আসবে।
১. “আল্লাহ ত্যাগীদের পক্ষে আছেন, যারা জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।” — আল্লাহ তাআলা (সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৩৫)
২. “যে ব্যক্তি অন্যায় করে, সে নিজেই তার ওপর জুলুম করে।” — হাদিস (সহিহ বুখারি)
৩. “কোনো ব্যক্তি যদি অন্যের ওপর জুলুম করে, তাহলে আল্লাহ তা প্রতিহত করবেন।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
৪. “জুলুম থেকে বিরত থাকুন, কারণ জুলুম সর্বশক্তিমান আল্লাহর সামনে সবচেয়ে বড় পাপ।” — হাদিস (তিরমিযী)
৫. “জুলুম করা মানে নিজের জীবনের অন্ধকার বৃদ্ধি করা।” — ইমাম আল গাজ্জালী
৬. “জুলুমী ও অত্যাচারী কখনোই শান্তিতে থাকবে না।” — হাদিস (সহিহ বুখারি)
৭. “যে অন্যায় করবে, তার প্রতিদান দুনিয়ায় ও আখিরাতে পাবে।” — কোরআন (সূরা আন-আম, আয়াত ১৬২)
৮. “জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ইসলামের মূল আদর্শ।” — ইমাম আহমদ
৯. “জুলুম করলে আল্লাহর কবুল করবে না কোনো ইবাদত।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
১০. “জুলুমের শাস্তি কঠিন এবং তা অবশ্যম্ভাবী।” — আল্লাহ (সূরা আস-সাফফাত, আয়াত ১৭৭)
১১. “জুলুম থেকে বিরত থাকুন, কারণ আল্লাহ জুলুমকারীদের ভালোবাসেন না।” — হাদিস (তিরমিযী)
১২. “নির্দোষ মানুষের ওপর জুলুম করা সবচেয়ে বড় গর্হিত কাজ।” — হাদিস (সহিহ বুখারি)
১৩. “জুলুমের পরিণতি কখনো সুখকর হয় না।” — ইমাম নাওয়াবী
১৪. “যে ব্যক্তি জুলুম করে, সে আল্লাহর রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করে।” — কোরআন (সূরা আল-মাইদাহ, আয়াত ৮)
১৫. “আল্লাহ জুলুম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
১৬. “জুলুম আর অসৎ কাজ ঈমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।” — ইমাম সাইয়্যিদ
১৭. “যে ব্যক্তি অন্যায় থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে শান্তি দিবেন।” — হাদিস (তিরমিযী)
১৮. “জুলুম সবসময়ই শাস্তিযোগ্য এবং তা থেকে দূরে থাকা উচিত।” — কোরআন (সূরা আন-নিসা, আয়াত ৫৯)
১৯. “জুলুমকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কঠোর শাস্তি নির্ধারিত আছে।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
২০. “জুলুমের শিকারদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিশোধ অতি কঠোর।” — কোরআন (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৮)

২১. “যে আল্লাহর পথে জুলুম বন্ধ করে, আল্লাহ তাকে সাহায্য করবেন।” — ইবনে তায়মিয়াহ
২২. “জুলুম থেকে বিরত থাকুন, কারণ তা সমাজকে ধ্বংস করে।” — ইমাম ফুযাইল
২৩. “জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করা সৎ মুসলমানের কর্তব্য।” — হাদিস (সহিহ বুখারি)
২৪. “জুলুমের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।” — ইমাম মালিক
২৫. “জুলুম করলে কুরআন নাজিল হয় না।” — ইমাম শাফি’
২৬. “জুলুমী ব্যক্তি কখনোই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।” — হাদিস (তিরমিযী)
২৭. “জুলুম থেকে বিরত থাকুন, কারণ তা আত্মার রোগ।” — ইমাম আহমদ
২৮. “জুলুমের শাস্তি অমীমাংসিত নয়।” — কোরআন (সূরা আল-ফুরকান, আয়াত ৬৮)
২৯. “জুলুমের প্রতি নিন্দা জানানো ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।” — ইমাম আব্দুল্লাহ
৩০. “জুলুম থেকে বাঁচাও, অন্যায় থেকে দূরে থাকো।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
৩১. “জুলুম বন্ধ করো, মানুষের অধিকার রক্ষা করো।” — ইমাম গাজ্জালী
৩২. “আল্লাহ জুলুমকারীদের ভয় পান।” — কোরআন (সূরা আল-আনফাল, আয়াত ৫৮)
৩৩. “জুলুম থেকে বিরত থাকুন, কারণ আল্লাহ সব কিছু দেখে।” — হাদিস (সহিহ বুখারি)
৩৪. “জুলুম করাটা ইসলাম বিরুদ্ধ।” — ইমাম আবু হানিফা
৩৫. “জুলুমের শাস্তি মহাপাপ।” — কোরআন (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৯۰)
৩৬. “জুলুম বন্ধ করো, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করো।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
৩৭. “জুলুম থেকে বিরত থাকাই ঈমানের চিহ্ন।” — ইমাম তাবারী
৩৮. “আল্লাহ জুলুমকারীদের কখনো ক্ষমা করবেন না।” — কোরআন (সূরা আল-মায়িদাহ, আয়াত ৩২)
৩৯. “জুলুম থেকে দূরে থাকুন, এটি মানুষের মর্যাদা রক্ষা করে।” — হাদিস (তিরমিযী)
৪০. “জুলুম বন্ধ করো, মানবিকতা রক্ষা করো।” — ইমাম সহি
৪১. “জুলুমী ব্যক্তি কখনো শান্তিতে থাকবে না।” — কোরআন (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৩৫)
৪২. “জুলুম থেকে বিরত থাকুন, কারণ তা আল্লাহর দৃষ্টিতে দুঃখজনক।” — হাদিস (সহিহ বুখারি)
৪৩. “জুলুমকারীরা দুনিয়া ও আখিরাতে নাশ হয়ে যাবে।” — ইমাম আলী (রা.)
৪৪. “জুলুম বন্ধ করো, ভালোর পথে যাও।” — কোরআন (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৭৫)
৪৫. “জুলুম থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয় ইসলামের প্রতিটি সূরা।” — ইমাম সোবাহি
৪৬. “জুলুম করা সৎ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।” — হাদিস (তিরমিযী)
৪৭. “জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ।” — ইমাম বুখারি
৪৮. “জুলুম থেকে বিরত থাকুন, কারণ আল্লাহ জুলুমকারীদের শাস্তি দেবেন।” — কোরআন (সূরা আল-আখলাফ, আয়াত ১৪)
৪৯. “জুলুম বন্ধ করো, সকলের প্রতি দয়া করো।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
৫০. “জুলুমের শাস্তি কঠোর, তাই ত্যাগ করো অন্যায়।” — ইমাম যাকারিয়া
উপসংহার: জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস থেকে শিক্ষা
জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস আমাদের জীবনে ন্যায় ও অন্যায়ের সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এই বাণীগুলো আমাদের শেখায়, অন্যায় করা বা অন্যায় সহ্য করা কখনোই ঈমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস কেবল শাস্তির ভয় দেখায় না, বরং ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানায়।
জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং দুর্নীতি, অত্যাচার থেকে দূরে থাকা মুসলমানের একটি ধর্মীয় কর্তব্য। জুলুম থেকে বিরত থাকা মানে কেবল দুনিয়ার শান্তি নয়, আখিরাতের সফলতা লাভ করাও নিশ্চিত করা।
অতএব, জুলুম নিয়ে উক্তি হাদিস আমাদের জীবনকে আলোকিত করে, একটি ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার দিকনির্দেশনা প্রদান করে। যারা জুলুমের শিকার, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।