ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সবকিছু আল্লাহর হুকুমে ঘটে এবং আমাদের করণীয় হলো ধৈর্য ও চেষ্টা করা। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি একজন মুমিনকে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করতে শেখায় এবং জানিয়ে দেয় যে ভাগ্য পরিবর্তনের মালিক একমাত্র আল্লাহ। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি তাই জীবনে শান্তি আনে এবং অন্তরে সঠিক বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করে। প্রথমেই বলা যেতে পারে, ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি আমাদের আত্মশক্তি ও আল্লাহর প্রতি আস্থা দুটোকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিতে বলে। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে সাহায্য করে ও আমাদের মনোবল জোগায়।
ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি থেকে বোঝা যায় যে মানুষের চেষ্টাও জরুরি, কিন্তু সফলতা নির্ভর করে আল্লাহর ইচ্ছার ওপর। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি কেবল প্রেরণা নয়, বরং আল্লাহর কুদরতের ওপর ঈমান ও তাকওয়া বৃদ্ধি করে। তাই ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি নিয়মিত পাঠ ও চিন্তা করা আমাদের আত্মিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য।
ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি
তাহলে দেখে নেওয়া যাক বাছাইকৃত সেরা ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি, যা জীবন গঠনে এবং ফেসবুক ক্যাপশন হিসেবেও কাজে আসবে।
১. “اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ”
“আল্লাহই প্রত্যেক কিছুর স্রষ্টা, আর তিনিই প্রত্যেক কিছুর কর্মবিধায়ক।” — [সূরা যুমার, ৩৯:৬২]
২. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে বিশ্বাস করে যে যা তার ভাগ্যে লেখা তা তাকে অবশ্যই পৌঁছাবে এবং যা তার ভাগ্যে নেই, তা কখনো তার হবে না।” — [তিরমিজি]
৩. “وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ”
“মুমিনরা আল্লাহর ওপরই ভরসা করুক।” — [সূরা ইবরাহিম, ১৪:১১]
৪. হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন: “যা তোমার ভাগ্যে লেখা তা পেতেই হবে, আর যা তোমার নয় তা চাইলেও হবে না।”
৫. ইমাম হাসান আল-বাসরী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্যের ওপর সন্তুষ্ট থাকা ইবাদতের অঙ্গ।”
৬. ইমাম মালেক (রহঃ) বলেছেন: “যখন আল্লাহ তোমার জন্য কিছু নির্ধারণ করেন, কেউ তা ঠেকাতে পারে না।”
৭. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” — [সহীহ মুসলিম]
৮. ইমাম শাফি (রহঃ) বলেছেন: “তুমি চেষ্টা করো, আর ভাগ্যের ব্যাপার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দাও।”
৯. হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন: “যে ভাগ্যের ওপর তাওয়াক্কুল করে, সে কখনো ভয় পায় না।”
১০. ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য বিশ্বাস করা ঈমানের একটি স্তম্ভ।”
১১. ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) বলেছেন: “যা ঘটেছে এবং যা ঘটবে সবই আল্লাহর হিকমতের ফল।”
১২. হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন: “তোমার জন্য নির্ধারিত রিজিক কখনো অন্যের হবে না।”
১৩. ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহঃ) বলেছেন: “যা তোমার কুদরতে নেই, সে নিয়ে চিন্তা করা অর্থহীন।”
১৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “আল্লাহ যা চেয়েছেন, তা হয়েছে, আর যা চাননি তা হয়নি।” — [মুসলিম]
১৫. হযরত উসমান (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্য হলো ধৈর্য ও তাওয়াক্কুলের পরীক্ষা।”
১৬. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানা আমাদের জন্য শান্তির কারণ।”
১৭. হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্যকে খারাপ বলা থেকে বেঁচে থাকো, কারণ সে আল্লাহর ইচ্ছা।”
১৮. ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন: “কর্ম করো, কিন্তু বিশ্বাস রাখো কুদরতের ওপর।”
১৯. ইমাম তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মেনে নেওয়া মানেই আল্লাহর প্রতি ঈমান দৃঢ় করা।”
২০. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “তুমি যদি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো, তিনি তোমার রিজিক দিবেন যেমন তিনি পাখিকে রিজিক দেন।” — [তিরমিজি]

২১. হযরত ফাতিমা (রাঃ) বলেছেন: “যা আমার কুদরতে নেই, তা নিয়ে মন খারাপ করি না।”
২২. ইমাম সিউতী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য বুঝতে হলে তাকওয়া অর্জন করো।”
২৩. হযরত জাবের (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্য আল্লাহর লেখা কিতাবের অংশ।”
২৪. ইমাম ইবনে জাওযী (রহঃ) বলেছেন: “কুদরতের ওপর ঈমান মুমিনের আত্মাকে মুক্ত করে।”
২৫. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যা তোমার ভাগ্যে নেই, তার জন্য তুমি শক্তি দিয়ে কিছুই করতে পারবে না।” — [মুসলিম]
২৬. হযরত উমর (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানো, কিন্তু কর্মে শিথিল হয়ো না।”
২৭. ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানার মাধ্যমে আত্মার শুদ্ধি আসে।”
২৮. হযরত উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য আল্লাহর ইচ্ছা, তাই অভিযোগ নয় কৃতজ্ঞতা করো।”
২৯. ইমাম শাফি (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য নিয়ে দ্বন্দ্বে যেও না, আল্লাহ জানেন তুমি জানো না।”
৩০. হযরত আব্বাস (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মেনে চলা একজন মুমিনের শান।”
৩১. ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য নিয়ে প্রশ্ন কম করো, বিশ্বাস বেশি করো।”
৩২. ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানা ঈমানের ছয়টি স্তম্ভের একটি।”
৩৩. হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন: “যা হয়েছে বা হবে সবই আল্লাহর পরিকল্পনা।”
৩৪. ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানলে অন্তরে শান্তি আসে।”
৩৫. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “কোনো কষ্ট, দুঃখ, দুঃখবোধ, ক্লান্তি এমনকি একটি কাঁটার বিঁধাও হয় না — কিন্তু আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করেন।” — [সহীহ বুখারী ও মুসলিম]
৩৬. হযরত উমর (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানার সাথে সাথে ধৈর্যও জরুরি।”
৩৭. ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য জানার চেয়ে তা মানা উত্তম।”
৩৮. ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মেনে নাও, তাতে কল্যাণ আছে।”
৩৯. হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, আর তুমি ধৈর্য রাখো।”
৪০. ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য হলো মুমিনের পরীক্ষা ও পুরস্কার।”
৪১. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, সে কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।” — [তিরমিজি]
৪২. হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন: “ভাগ্যের কথা ভেবে তুমি কষ্ট পেও না।”
৪৩. ইমাম শাফি (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানো, চেষ্টা চালিয়ে যাও।”
৪৪. ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য মানা আর তাওয়াক্কুল করা সমার্থক।”
৪৫. ইমাম ইবনে তায়মিয়া (রহঃ) বলেছেন: “ভাগ্য হলো আল্লাহর রহমত ও হিকমতের প্রকাশ।”
উপসংহার: ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি
ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কিছুই হয় না। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি আমাদের শেখায় কিভাবে ধৈর্য ধরি এবং আল্লাহর ওপর ভরসা করি। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি একজন মুমিনকে আত্মবিশ্বাসী ও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট করে।
যখন আমরা ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি পড়ি, তখন জীবনকে সহজভাবে মেনে নিতে পারি এবং আল্লাহর হুকুমে সন্তুষ্ট থাকি। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি আমাদের জানায় যে, আমাদের চেষ্টা ও দোয়া কখনো বৃথা যায় না। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি হৃদয়ে তাওয়াক্কুল এবং কৃতজ্ঞতা জন্মায়।
অতএব, ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি জীবনের দিকনির্দেশক এবং আত্মার শান্তি। ভাগ্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি পড়ে ও বিশ্বাস করে আমরা আল্লাহর পরিকল্পনায় আস্থা রাখতে শিখি এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ধৈর্য্য ও কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠি।