ভাসানীর উক্তি আমাদের ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। ভাসানীর উক্তি শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন এক অবিস্মরণীয় নেতা যিনি মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা ও ইসলামের আলোকে সমাজ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর জীবন ও সংগ্রাম থেকে আমরা শিখতে পারি কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়।
ভাসানীর জীবনের প্রতিটি উক্তি যেন আমাদের চলার পথে এক একটি প্রদীপ। ভাসানীর বিখ্যাত উক্তিগুলো আমাদের মনে সাহস জাগায় এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে শিখায়। আজকের দিনে তাঁর বাণীগুলো যেমন সামাজিক পরিবর্তনের জন্য প্রাসঙ্গিক, তেমনি ব্যক্তিজীবনের জন্যও পথপ্রদর্শক। ভাসানীর উপরোক্ত উক্তিগুলো তাই যুগে যুগে মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
ভাসানীর উক্তি
তাহলে দেখে নেয়া যাক বাছাইকৃত সেরা ভাসানীর উক্তি, যা জীবন গঠনে এবং ফেসবুক ক্যাপশন হিসেবেও কাজে আসবে।
১. “যে দিন মজলুমের কান্না আর শোনা যাবে না, সে দিনই এ সমাজ ধ্বংস হবে।” — মওলানা ভাসানী
২. “অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা না বলা মানে অন্যায়কে সমর্থন করা।” — মওলানা ভাসানী
৩. “মানুষের মুক্তির জন্য যে সংগ্রাম করে না, সে মানুষ নয়।” — মওলানা ভাসানী
৪. “যতদিন মানুষের পেটে ভাত থাকবে না, ততদিন শান্তি আসবে না।” — মওলানা ভাসানী
৫. “ন্যায় প্রতিষ্ঠা না করে শান্তি স্থায়ী হয় না।” — মওলানা ভাসানী
৬. “সত্যের জন্য দাঁড়াতে সাহস চাই, অন্যায়ের সঙ্গে থাকতে সাহস লাগে না।” — মওলানা ভাসানী
৭. “গরিবের পাশে দাঁড়ানোই ইবাদতের সমান।” — মওলানা ভাসানী
৮. “শোষণমুক্ত সমাজই মানুষের স্বপ্ন।” — মওলানা ভাসানী
৯. “মজলুমের দোয়া ফেরানো যায় না।” — মওলানা ভাসানী
১০. “যে নিজের জন্য বাঁচে, সে মরেও বাঁচে না; যে মানুষের জন্য বাঁচে, সে মরেও বেঁচে থাকে।” — মওলানা ভাসানী
১১. “সত্য কখনো চাপা থাকে না, একদিন বেরিয়ে আসেই।” — মওলানা ভাসানী
১২. “মজলুমদের রক্ত বৃথা যায় না।” — মওলানা ভাসানী
১৩. “যে জুলুম করে, সে মানুষ নয়; যে জুলুম সহ্য করে, সেও মানুষ নয়।” — মওলানা ভাসানী
১৪. “যতদিন শোষণ থাকবে, ততদিন সংগ্রাম চলবে।” — মওলানা ভাসানী
১৫. “অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করা হার মানার শামিল।” — মওলানা ভাসানী
১৬. “মানুষের অধিকার রক্ষাই আমার ধর্ম।” — মওলানা ভাসানী
১৭. “গরিবের দুঃখ শাসকের চোখে পানি আনে না, কিন্তু আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে।” — মওলানা ভাসানী
১৮. “মজলুমদের জন্য যুদ্ধ করাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য।” — মওলানা ভাসানী
১৯. “আল্লাহর রাস্তায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ করাই প্রকৃত ইমানের পরিচয়।” — মওলানা ভাসানী
২০. “মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই আমার রাজনীতি।” — মওলানা ভাসানী

২১. “অন্যের দুঃখকে নিজের দুঃখ মনে করো।” — মওলানা ভাসানী
২২. “পৃথিবীটা শোষণের জন্য নয়, সেবার জন্য।” — মওলানা ভাসানী
২৩. “সত্য প্রতিষ্ঠায় জীবন দেওয়াই আমার সৌভাগ্য।” — মওলানা ভাসানী
২৪. “যতদিন গরিব থাকবে, ততদিন আমি লড়বো।” — মওলানা ভাসানী
২৫. “শাসকের ভয় করো না, আল্লাহকে ভয় করো।” — মওলানা ভাসানী
২৬. “অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে জিহাদ করো।” — মওলানা ভাসানী
২৭. “মানুষ মানুষের জন্য, ধর্ম মানুষকে লড়তে শেখায়।” — মওলানা ভাসানী
২৮. “ক্ষমা করা মহান কাজ, কিন্তু অন্যায় সহ্য করা পাপ।” — মওলানা ভাসানী
২৯. “মজলুমদের চোখের পানি আগুন হয়ে ফিরে আসে।” — মওলানা ভাসানী
৩০. “যে নিজে সুখে থেকে অন্যকে কষ্ট দেয়, সে মানুষ নয়।” — মওলানা ভাসানী
৩১. “শোষণের শিকল ভাঙতে হলে মজলুমদের জাগতে হবে।” — মওলানা ভাসানী
৩২. “ভালোবাসা ছাড়া সমাজ টিকে না।” — মওলানা ভাসানী
৩৩. “গরিবের দুঃখ দেখেও যে নীরব থাকে, তার হৃদয় মৃত।” — মওলানা ভাসানী
৩৪. “মানুষের ভালো চাইলে ত্যাগ করতে শিখতে হবে।” — মওলানা ভাসানী
৩৫. “ন্যায় ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই ইমানের অঙ্গ।” — মওলানা ভাসানী
৩৬. “শোষণমুক্ত সমাজ গড়া আমার স্বপ্ন।” — মওলানা ভাসানী
৩৭. “গরিবদের অবহেলা করো না, তারা জান্নাতের সঙ্গী।” — মওলানা ভাসানী
৩৮. “মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হলে লড়তে হবে।” — মওলানা ভাসানী
৩৯. “অন্যায়কে না বলা মানেই মানুষ হওয়া।” — মওলানা ভাসানী
৪০. “সত্য বলার সাহস যার নেই, সে কাপুরুষ।” — মওলানা ভাসানী
৪১. “যে নিজের জন্য সবকিছু চায়, সে অন্যের কিছুই দেয় না।” — মওলানা ভাসানী
৪২. “যতদিন অন্যায় থাকবে, ততদিন বিপ্লব থামবে না।” — মওলানা ভাসানী
৪৩. “আল্লাহর পথে লড়াই করা সবচেয়ে বড় ইবাদত।” — মওলানা ভাসানী
৪৪. “শোষিতদের পাশে দাঁড়ানোই মানবতা।” — মওলানা ভাসানী
৪৫. “মানুষের জন্য কাজ করলেই মানুষ বেঁচে থাকে।” — মওলানা ভাসানী
৪৬. “অন্যায়কে চুপচাপ মেনে নেওয়া মহাপাপ।” — মওলানা ভাসানী
৪৭. “জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করো, তবেই তুমি মুসলমান।” — মওলানা ভাসানী
৪৮. “মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার রাজনীতি।” — মওলানা ভাসানী
৪৯. “শোষিতদের দোয়া কখনো মিথ্যা হয় না।” — মওলানা ভাসানী
৫০. “যতদিন মজলুম থাকবে, ততদিন আমি রাজনীতি করবো।” — মওলানা ভাসানী
উপসংহার: ভাসানীর উক্তি আমাদের জীবনে দিকনির্দেশনা
ভাসানীর উক্তি আমাদের জীবনে সঠিক পথে চলতে শিখায়। তাঁর প্রতিটি কথা আমাদের মনে সাহস জোগায় যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভাসানীর উক্তি শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতা নয়, বরং মানুষের জন্য ভালোবাসা ও ন্যায়বিচারেরও প্রতীক।
ভাসানীর উক্তি আমাদের শেখায় যে মানুষের জন্য লড়াই করাই জীবনের আসল উদ্দেশ্য। তিনি শিখিয়েছেন, মজলুমের পাশে দাঁড়ানো মানেই আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়া। ভাসানীর উক্তি তাই আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ও প্রেরণাদায়ক।
সবশেষে বলা যায়, ভাসানীর উক্তি আমাদেরকে এক নতুন আলো দেখায়। মজলুম ও শোষিতদের পাশে দাঁড়ানোর যে শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন, তা আমাদের ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে পথ দেখায়। তাই ভাসানীর উক্তি আমাদের জন্য যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণার উৎস হয়েই থাকবে।