শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি আমাদের সাহিত্যপ্রেমী হৃদয়ে এক অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দেয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখনী বরাবরই আবেগপ্রবণ, বাস্তবভিত্তিক এবং চিন্তাশীল পাঠকদের মনে দাগ কেটে গেছে, আর শেষের পরিচয় তার ব্যতিক্রম নয়। এই উপন্যাসে কিছু এমন সব কথা বলা হয়েছে, যা শুধু গল্প নয়, জীবনের গভীর দর্শনের প্রতিফলন।
শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি গুলোতে সম্পর্কের জটিলতা, ভালোবাসার না-বলা কথা, সমাজের সংকীর্ণতা আর আত্মসম্মানের কষ্ট সবই মেলে। অনেক উক্তি আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়ায়। যারা সাহিত্য ভালোবাসে, তাদের জন্য এই উপন্যাস শুধু একখানা বই নয়, এটা একেকটা জীবন-দর্শনের দরজা খুলে দেয়।
তবে শুধু পাঠক নয়, যারা ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক মাধ্যমে দারুণ সব ক্যাপশন খুঁজে বেড়ান, শেষের পরিচয় উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তিগুলো তাঁদের জন্যও দারুণ রসদ। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সব কথা এক জায়গায় পেলে তো কথাই নেই। এবার চলুন…
শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি
তাহলে দেখে নেয়া যাক বাছাইকৃত সেরা শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি, যা জীবন গঠনে এবং ফেসবুক ক্যাপশন হিসেবেও কাজে আসবে।
১. “ভালোবাসা যদি সহজ হতো, তবে সব সম্পর্ক শেষ হতো না” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২. “নারীর চোখের অশ্রু আর পুরুষের নীরবতা—দুটোই অদৃশ্য যুদ্ধ” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩. “যে চলে যায়, সে শুধু শরীর নিয়ে যায়; স্মৃতি রেখে যায় বুকে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪. “ভালোবাসার মানুষকে ভুলে যাওয়া যায় না, শুধু সয়ে নিতে হয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৫. “নারী যদি ভালোবাসে, তবে সব বিসর্জন দিতে পারে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৬. “যার যত আপন, তার তত কষ্ট” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৭. “ভালোবাসা দাবী করতে শিখলে, সম্পর্ক হারাতে হয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৮. “ভদ্রতা দেখানো সহজ, সহ্য করা কঠিন” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৯. “সব সত্যি কথা বলা যায় না; কিছু চুপ থেকেও বলা হয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১০. “অভিমান বোঝে সে, যে ভালোবাসে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১১. “সমাজের চোখ বড়ো কড়া, নারীর কান্নাও সেখানে দোষ” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১২. “যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো, তার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাও” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৩. “যে চলে যেতে চায়, তাকে ধরে রাখার মানে নিজেকে ভাঙা” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৪. “নারী সয়ে যায়, পুরুষ এড়িয়ে যায়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৫. “ভালোবাসা কখনো অপরাধ হতে পারে না, সমাজের নিয়মই ভুল” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৬. “যে ভালোবাসে, সে দোষ খোঁজে না—সে শুধু ব্যথা লুকায়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭. “যার চোখে চোখ রাখলে কান্না চলে আসে, সে আপন” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৮. “নারী যখন চোখের জল থামিয়ে নেয়, তখন সে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৯. “অভিমান সেই চিঠি, যা কখনো পাঠানো হয় না কিন্তু হৃদয় বোঝে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২০. “ভালোবাসা কষ্ট দেয়, তবু মানুষ ভালোবাসে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২১. “আত্মসম্মানকে বিসর্জন দিয়ে কোনো সম্পর্ক টিকে না” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২২. “কিছু সম্পর্ক কষ্ট দিয়ে যায়, শিক্ষা দিয়ে নয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৩. “চলার পথে একা হওয়া দুঃখের নয়, অযোগ্য সঙ্গী থাকা দুঃখের” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৪. “ভালোবাসা ত্যাগের অন্য নাম” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৫. “যে নারী ভালোবাসে, সে অপেক্ষা করতে জানে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৬. “প্রেমে যদি সম্মান না থাকে, তবে সে প্রেম নয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৭. “শুধু প্রেম নয়, বিশ্বাসও চাই” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৮. “ভালোবাসার অর্থ নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া নয়, নিজেকে খুঁজে পাওয়া” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৯. “মন ভাঙা শব্দ শোনে না, অনুভব করে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩০. “শরীরের নয়, আত্মার মিলই প্রেম” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩১. “অনেক সময় ভালোবাসা বোঝাতে শব্দ লাগে না” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩২. “যে সম্পর্ক বোঝে না, সে ভালোবাসাও বোঝে না” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩৩. “একটা সময় আসে, যখন চোখের জলও আর আসে না” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩৪. “ভালোবাসার মুখোশে অনেকে কষ্ট দেয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩৫. “নিরবতা অনেক কিছু বলে দেয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩৬. “নারী যখন চুপ থাকে, তখন সে সবচেয়ে বেশি ভাঙে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩৭. “ভালোবাসা মানে শুধু পাশে থাকা নয়, অনুভব করাও” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩৮. “ভালোবাসা কখনো বাধ্যতা নয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩৯. “প্রেম কোনোদিন অন্যায় নয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪০. “আত্মসম্মানহীন প্রেম, আত্মঘাতী” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪১. “ভালোবাসা কখনো হারায় না, হারিয়ে যায় মানুষ” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪২. “সব সম্পর্ক সফল হয় না, কিছু সম্পর্ক শিক্ষার” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৩. “মনের ভেতরে কষ্ট জমে গেলে, সম্পর্ক মরে যায়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৪. “সত্যিকারের ভালোবাসা শুধু দাবি করে না, দেয়ও” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৫. “যে মন থেকে ভালোবাসে, সে ভাঙলেও ভালোবাসে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৬. “ভালোবাসা মানেই নিজের ভেতর একটা জায়গা কাউকে দিয়ে দেওয়া” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৭. “মানুষের মন সবচেয়ে জটিল উপন্যাস” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৮. “যে অনুভব করে, সে কিছু বলেও না—সব বোঝে” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৯. “ভালোবাসা হারিয়ে গেলেও স্মৃতি থেকে যায়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৫০. “যে চোখে জল আসে না, সে ভালোবাসে না—এমন নয়” — শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উপসংহার: শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি ও আমাদের বাস্তবতা
শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি গুলো শুধু সাহিত্য নয়, বাস্তব জীবনেরও দর্পণ। প্রতিটি উক্তি এমনভাবে লেখা হয়েছে যেনো তা আমাদের মনের না বলা কথাগুলোকে শব্দের রূপ দিয়েছে। এই উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র, তাদের সম্পর্ক, তাদের দ্বন্দ্ব ও আত্মসংঘাত আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে যায়।
শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি গুলো এমন কিছু সত্যি তুলে ধরে, যা আমরা প্রতিদিন অনুভব করি, কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না। শরৎচন্দ্র তার লেখনী দিয়ে সেই ভাষাহীন অভিব্যক্তিকেই শব্দ দিয়েছেন। এই উক্তিগুলো আমাদের ভাবনার জগতে আলো ফেলে, এবং আত্মসমালোচনার দরজাও খুলে দেয়।
পরিশেষে বলতেই হয়, শেষের পরিচয় উপন্যাসের উক্তি গুলো শুধু পড়ার জিনিস নয়—এগুলো আমাদের অনুভব করার, উপলব্ধি করার। যারা সম্পর্কের গভীরতা বুঝতে চান, জীবনের সূক্ষ্ম ব্যথাগুলোকে চিনতে চান, তাদের জন্য এই উক্তিগুলো হতে পারে এক একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়।