ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ ২৭ এবং ২৮ জুন দেশপ্রেমিক জোটের কর্মসূচি ঘোষণা

Sami Raj
  • আপডেট সময় : ০১:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ

আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়েরা,  দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক জোট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ ২৭ এবং ২৮ জুন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা ও রাখাইন করিডোর স্থাপনের উদ্যোগ বাতিলের দাবি জানানো হবে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে জাতীয় সচেতনতা সৃষ্টি করা।

চট্টগ্রাম বন্দর লিজ: জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন?

সম্প্রতি সরকার চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার জন্য একটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পরিকল্পনা ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও উদ্বেগ।দেশপ্রেমিক জোটের দাবি, এই লিজ প্রক্রিয়া দেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য ভালো না। তারা বলছে, বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন একটি বিদেশি কোম্পানিকে এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর দেওয়া হচ্ছে, সেটিই বড় প্রশ্ন। একজন জোট নেতার ভাষায়, বন্দর শুধু পণ্য ওঠা-নামার জায়গা নয়, এটি দেশের গেটওয়ে। বিদেশি নিয়ন্ত্রণ মানে সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ।

রাখাইন করিডোর: নতুন করিডোর না গোপন চুক্তি?

রাখাইন করিডোর বিষয়টিও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।এটি মূলত চীন বা মিয়ানমারের সঙ্গে সম্ভাব্য একটি বাণিজ্যিক করিডোর স্থাপনের উদ্যোগ। জোটের মতে, এই প্রকল্প দেশের নিরাপত্তা, রাজনীতি ও কূটনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। তারা বলছেন, এই ধরনের বড় প্রকল্পে জনমত ও সংসদীয় অনুমোদন ছাড়া এগিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার পরিপন্থী।

২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ কর্মসূচির বিস্তারিত

রোডমার্চ ২৭ জুন সকাল ৯টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।২৮ জুন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে। এই রোডমার্চে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, শ্রমজীবী সংগঠন ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। জোটের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের আওয়াজ তুলে ধরবে।

সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন

এই আন্দোলনকে বলা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি।

বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ও করিডোরের মাধ্যমে কোনো বিশ্বশক্তির কৌশলগত দখলদারিত্ব তৈরি হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই এই কর্মসূচি। দেশপ্রেমিক জোট বলছে, তারা দেশের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় রাজপথে থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের ভূমিকা

ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন রোডমার্চ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানিয়েছে। তবে তারা এখনো কোনো কর্মসূচি স্থগিতের নির্দেশ দেয়নি। জোট পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে এবং কেউ বিশৃঙ্খলা ঘটালে তা প্রতিহত করা হবে।

জনমত কী বলছে?

সাধারণ মানুষের একাংশ মনে করছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে জনমত উপেক্ষা করা উচিত নয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন- বন্দর বিক্রি নয়, রক্ষা চাই। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, কৌশলগত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিদেশি নিয়ন্ত্রণ ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ ২৭ এবং ২৮ জুন দেশপ্রেমিক জোটের কর্মসূচির – এই প্রতিবাদের ভবিষ্যৎ কী?

এই কর্মসূচি শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, এটি দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার প্রশ্ন। দেশপ্রেমিক জোট জানিয়েছে, দাবিগুলো না মানা হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তারা জনগণকে রাজপথে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আমাদের শেষ কথা 

চট্টগ্রাম বন্দর ও রাখাইন করিডোরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনমতের গুরুত্ব অপরিহার্য। এই আন্দোলন কেবল একটি রোডমার্চ নয়, এটি জাতীয় স্বার্থে সচেতনতার প্রতিফলন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের উচিত হবে সংবেদনশীল এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করা।

আর্টস নিয়ে পড়লে কি ডাক্তার হওয়া যায় কিনা। বিস্তারিত জানতে এইখানে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ ২৭ এবং ২৮ জুন দেশপ্রেমিক জোটের কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট সময় : ০১:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়েরা,  দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক জোট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ ২৭ এবং ২৮ জুন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা ও রাখাইন করিডোর স্থাপনের উদ্যোগ বাতিলের দাবি জানানো হবে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে জাতীয় সচেতনতা সৃষ্টি করা।

চট্টগ্রাম বন্দর লিজ: জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন?

সম্প্রতি সরকার চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার জন্য একটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পরিকল্পনা ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও উদ্বেগ।দেশপ্রেমিক জোটের দাবি, এই লিজ প্রক্রিয়া দেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য ভালো না। তারা বলছে, বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন একটি বিদেশি কোম্পানিকে এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর দেওয়া হচ্ছে, সেটিই বড় প্রশ্ন। একজন জোট নেতার ভাষায়, বন্দর শুধু পণ্য ওঠা-নামার জায়গা নয়, এটি দেশের গেটওয়ে। বিদেশি নিয়ন্ত্রণ মানে সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ।

রাখাইন করিডোর: নতুন করিডোর না গোপন চুক্তি?

রাখাইন করিডোর বিষয়টিও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।এটি মূলত চীন বা মিয়ানমারের সঙ্গে সম্ভাব্য একটি বাণিজ্যিক করিডোর স্থাপনের উদ্যোগ। জোটের মতে, এই প্রকল্প দেশের নিরাপত্তা, রাজনীতি ও কূটনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। তারা বলছেন, এই ধরনের বড় প্রকল্পে জনমত ও সংসদীয় অনুমোদন ছাড়া এগিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার পরিপন্থী।

২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ কর্মসূচির বিস্তারিত

রোডমার্চ ২৭ জুন সকাল ৯টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।২৮ জুন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে। এই রোডমার্চে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, শ্রমজীবী সংগঠন ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। জোটের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের আওয়াজ তুলে ধরবে।

সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন

এই আন্দোলনকে বলা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি।

বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ও করিডোরের মাধ্যমে কোনো বিশ্বশক্তির কৌশলগত দখলদারিত্ব তৈরি হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই এই কর্মসূচি। দেশপ্রেমিক জোট বলছে, তারা দেশের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় রাজপথে থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের ভূমিকা

ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন রোডমার্চ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানিয়েছে। তবে তারা এখনো কোনো কর্মসূচি স্থগিতের নির্দেশ দেয়নি। জোট পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে এবং কেউ বিশৃঙ্খলা ঘটালে তা প্রতিহত করা হবে।

জনমত কী বলছে?

সাধারণ মানুষের একাংশ মনে করছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে জনমত উপেক্ষা করা উচিত নয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন- বন্দর বিক্রি নয়, রক্ষা চাই। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, কৌশলগত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিদেশি নিয়ন্ত্রণ ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডমার্চ ২৭ এবং ২৮ জুন দেশপ্রেমিক জোটের কর্মসূচির – এই প্রতিবাদের ভবিষ্যৎ কী?

এই কর্মসূচি শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, এটি দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার প্রশ্ন। দেশপ্রেমিক জোট জানিয়েছে, দাবিগুলো না মানা হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তারা জনগণকে রাজপথে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আমাদের শেষ কথা 

চট্টগ্রাম বন্দর ও রাখাইন করিডোরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনমতের গুরুত্ব অপরিহার্য। এই আন্দোলন কেবল একটি রোডমার্চ নয়, এটি জাতীয় স্বার্থে সচেতনতার প্রতিফলন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের উচিত হবে সংবেদনশীল এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করা।

আর্টস নিয়ে পড়লে কি ডাক্তার হওয়া যায় কিনা। বিস্তারিত জানতে এইখানে যান।