বর্তমান স্বর্ণের দাম কত টাকা ভরি ২০২৫

- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
সোনার দাম প্রতিদিনই একটু একটু করে ওঠানামা করে। অনেকেই জানতে চান, বর্তমান স্বর্ণের দাম কত টাকা ভরি? কারণ এটা শুধু গহনার জন্য না, বরং একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবেও মানুষ স্বর্ণে ভরসা রাখে। তাই আজ আমরা জানব আজকের সোনার বাজার দর কত, দাম পরিবর্তনের কারণ, ও সোনার নিরাপদ কেনাবেচা কেমন হওয়া উচিত।
আজকের স্বর্ণের বাজার দর ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট
বাংলাদেশে প্রতিদিন স্বর্ণের দর ঘোষিত হয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (BAJUS)-এর মাধ্যমে। ২০২৫ সালের আজকের দিনে স্বর্ণের দাম ছিল এইরকম:
- ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম: প্রতি ভরি প্রায় ১,১৩,০০০ টাকা
- ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম: প্রতি ভরি প্রায় ১,০৮,০০০ টাকা
- ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম: প্রতি ভরি প্রায় ৯২,০০০ টাকা
এই দামের মধ্যে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ এবং জনপ্রিয়।
আপনি গহনা বানাতে চাইলে ২১ বা ২২ ক্যারেটই বেছে নেওয়া ভালো।
বর্তমান স্বর্ণের দাম কত টাকা ভরি পরিবর্তনের কারণ কী?
সোনার দাম কেবল বাংলাদেশে নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও ওঠানামা করে। এই দামের ওপর অনেকগুলো বিষয় প্রভাব ফেলে:
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
যেমন ধরুন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। কারণ বিনিয়োগকারীরা তখন নিরাপদ বিনিয়োগ খোঁজে আর স্বর্ণ হচ্ছে সেই নিরাপদ আশ্রয়।
ডলারের মূল্য ওঠানামা
আমাদের দেশে স্বর্ণ আমদানি করা হয়। ডলারের দাম বাড়লে স্বর্ণের দামও বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি
সরকার কখনো কখনো আমদানিতে শুল্ক বাড়ায়, তখন বাজারে স্বর্ণের ঘাটতি হয়, এবং দাম বেড়ে যায়।
কোন দোকানে সোনা কেনা সবচেয়ে নিরাপদ?
স্বর্ণ কেনার সময় অনেকেই শুধু দাম দেখেন। কিন্তু নিরাপদ কেনাকাটা করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুব জরুরি।
বিশ্বাসযোগ্য দোকান নির্বাচন করুন
আপনার শহরের পরিচিত, পুরনো এবং বিশ্বাসযোগ্য দোকান থেকে স্বর্ণ কেনা উচিত। যেমন: আল-মালেক জুয়েলার্স, আব্দুল্লাহ গোল্ড, আরএম জুয়েলার্স এরা সাধারণত নির্ভরযোগ্য।
আসল স্বর্ণ চিনবেন কীভাবে?
আসল স্বর্ণের গায়ে সাধারণত ৯১৬ বা ২২ ক্যারেট লেখা থাকে। এছাড়া, ভেরিফাইড দোকান থেকে কিনলে তারা সার্টিফিকেট দেয়। যদি না দেয়, তাহলে সেই দোকান থেকে সোনা না কেনাই ভালো।
স্বর্ণ কেনার সময় যা অবশ্যই মনে রাখবেন
- দাম যাচাই করে কিনুন। BAJUS ওয়েবসাইট বা জনপ্রিয় অ্যাপ দিয়ে যাচাই করুন।
- সরকারি অনুমোদিত কাগজপত্র নিন যেমন: বিল, ক্যারেট সার্টিফিকেট।
- গহনা বানালে ডিজাইনের জন্য আলাদা চার্জ লাগে এটা আগে থেকেই জেনে নিন।
অনলাইনে স্বর্ণ কেনা কি নিরাপদ?
আজকাল অনেকেই অনলাইনে গহনা অর্ডার করেন। তবে কিছু সতর্কতা মানলে অনলাইন কেনাও নিরাপদ হতে পারে।
ভেরিফাইড ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন
যেমন: Apan Jewellers Online, Daraz Gold Certified Store – এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে স্বর্ণ কেনা তুলনামূলক নিরাপদ।
দাম যাচাইয়ের অ্যাপস
আপনি BAJUS অ্যাপ, Live Gold Price BD, বা Google Market Gold Tracker অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো থেকে প্রতিদিনের দাম যাচাই করা যায়।
সোনার বাজারে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা কেমন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক বছরে স্বর্ণের চাহিদা আরও বাড়বে। বিশ্বে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যত বাড়ছে, ততই মানুষ স্বর্ণকে সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে নিচ্ছে। বাংলাদেশেও দিন দিন স্বর্ণ কেনা এখন আর শুধু বিলাসিতা নয় এটি এখন একটি নিরাপদ বিনিয়োগ।
স্বর্ণ কেনাবেচা নিয়ম পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় করণীয়
অনেকে পুরনো গহনা বিক্রি করতে চান। সেক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন:
- ভালো মানের দোকানে বিক্রি করুন যারা সঠিক ওজন ও দাম দেয়।
- আগের কেনা কাগজপত্র থাকলে দাম একটু বেশি পেতে পারেন।
- আবার গলিয়ে নতুন গহনা বানালে ডিজাইন চার্জ দিতে হয়।
আমার শেষ কথা
আপনি যদি ভাবেন, বর্তমান স্বর্ণের দাম কত টাকা ভরি, তবে আজকের তথ্য আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করবে। স্বর্ণ শুধু গহনা নয়, এটি আপনার ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত এক সম্পদ। তবে কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে, বিশুদ্ধ স্বর্ণ কিনুন। আশা করি, আজকের এই তথ্য আপনাকে স্বর্ণ কেনা-বেচার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আপনি চাইলে এই লেখাটির নিচে কমেন্ট করে আপনার প্রশ্ন জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব দ্রুত উত্তর দিতে।
লেখা সম্পাদনার প্রয়োজনীয় কমান্ড পাওয়া যায় কোন মেনুতে জানুন সহজ ভাষায়।বিস্তারিত জানতে এইখানে যান।